1. [email protected] : admin :
বাঞ্ছারামপুরে বাল্যবিবাহ পড়িয়ে কোটিপতি, সেই বিয়ের কাজী গ্রেফতার - bikrampurerchokh বাঞ্ছারামপুরে বাল্যবিবাহ পড়িয়ে কোটিপতি, সেই বিয়ের কাজী গ্রেফতার - bikrampurerchokh
৩রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| শনিবার| রাত ১:২৩|

বাঞ্ছারামপুরে বাল্যবিবাহ পড়িয়ে কোটিপতি, সেই বিয়ের কাজী গ্রেফতার

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, মার্চ ১৯, ২০২৫,
  • 38 Time View

বি‌শেষ প্রতি‌বেদক: অবশেষে আলোচিত-সমালোচিত ও আওয়ামী লীগ নেতা সেই কোটি পতি বিয়ের কাজী মো. ফরিদুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ।
পূর্বের ( বিস্ফোরক দ্রব্য)  একটি মামলায়
মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার হলেও আজ বুধবার সকালে তাকে জেলা আদালতে পাঠানো হয় বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর  উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফরিদুজ্জামান এবং সোনারামপুর ইউনিয়নের  কাজী হেলাল উদ্দিনের নামে নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজি) বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ নিবন্ধনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবী করছিলো এলাকাবাসী।

খোঁজ  নিয়ে জানা গেছে,  বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী বাল্য বিবাহের স্বীকার হন উল্লেখিত দুটি ইউনিয়নের মেয়েরা।তারপর রয়েছে,ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন।
অভিযোগ রয়েছে, বাল্যবিবাহের প্রায় প্রতিটি বিয়েতে সরকার নির্ধারিত মূল্যের ২/৩ গুন ফি আদায়,কাবিন নামা বাংলা থেকে ইংরেজি ভার্সন করায় গলা কাটা ফি আদায়,মেয়ে অপ্রাপ্ত হলে উপরের মহলকে খুশী করার কথা বলে আরো বাড়তি ফী আদায় করেন।

নিকাহ রেজিস্ট্রার  বই  কয়েকটি জায়গায় বর ও কনের জন্মের তারিখ লিপিবদ্ধ করা হয়না। বইয়ের প্রায় ৬০ ভাগ জায়গায় বিবাহ পড়ানো ব্যক্তি, কনে ও কাজির সই থাকেনা। কিছু জায়গায় সাক্ষীদের নাম থাকে কিন্তু সই নেই। আবার কিছু জায়গায় বর ও কনের সই ছাড়া সব কলাম ফাঁকা রাখা হয়। বেআইনি প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের জন্য এসব অনিয়ম করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার  দুপুরে কয়েকজন স্থানীয় সংবাদকর্মী উজানচরের কাজী ফরিদুজ্জামানের বুধাইরকান্দির বাসভবনে দেখা করতে গেলে দেখা যায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেছেন। জানা গেছে,পার্শ্ববর্তী হোমনা উপজেলায় তিনি সম্প্রতি ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ শতক মূল্যবান বাড়ি করার উপযোগী জায়গা কিনেছেন। এ ছাড়া রয়েছে বিপুল পরিমান ব্যাংক ব্যালেন্স।

অভিযোগে জানা গেছে ফরিদুজ্জামান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা। সদ্য  জামিনে কারামুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনি চেয়ারম্যানের সাথে ছিলো তার সুসম্পর্ক। এটিকে কাজে লাগিয়ে তাঁর পিতাকে ভূয়া মুক্তিযুদ্ধার সার্টিফিকেট তুলে মুক্তিযুদ্ধা বানিয়ে দেন। যদিও কাজী সাহেব তা সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেছেন।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন,
উজানচরের ইউনিয়নের কাজী ফরিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করে আজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ আমলে “নিকাহ নামা ও কাজীগিরী”র নামে নানা অনিয়ম করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া ফরিদুজ্জামান গ্রেফতার হলেও তার দোসর সোনারামপুর ইউনিয়নের কাজী হেলাল উদ্দিন এখনো গ্রেফতার হয়নি।
এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন সময় তাদের নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছিলো। 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025