মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বাড়ির পাশে ডোবায় পড়ে আয়াতুল খান (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১২ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের দক্ষিণ খিদিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আয়াতুল দক্ষিণ খিদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ খানের একমাত্র ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আয়াতুল সকালের দিকে সবার অজান্তে বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ মিটার দূরে তার নানীকে খুঁজতে গিয়ে একটি ডোবায় পড়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পানিতে আয়াতুলের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান।
একই এলাকার বাসিন্দা আয়াতুলের নানা মো. জনবলি বলেন, “আমার নাতিকে সকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে চিপাখাল নামক স্থানে আয়াতুলের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রথমে ভেবেছিলাম এটি খেলনার পুতুল। পরে আমার মেয়ে জান্নাত আক্তার কাছে গিয়ে দেখে সেটা তার শিশু ছেলে আয়াতুলের মরদেহ। সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই, কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জামসেদ ফরিদী বলেন, “তিন বছর বয়সী একটি শিশুকে তার পরিবার আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে নিশ্চিত করেন যে শিশুটি এখানে আনার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করেছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা নিশ্চিত হই যে শিশুটির মৃত্যু পানিতে ডুবে যাওয়ার ফলে হয়েছে। পরবর্তীতে শিশুটির মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়।”
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “তিন বছর বয়সী একটি শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে এমন খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে। প্রাথমিক তদন্তে এটি একটি দুঃখজনক দুর্ঘটনা হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিশুটির মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।