1. [email protected] : admin :
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ঘটনা - bikrampurerchokh নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ঘটনা - bikrampurerchokh
৩রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| শনিবার| রাত ১২:৪৫|

নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ঘটনা

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, অক্টোবর ২৮, ২০২৪,
  • 27 Time View

নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ঘটনা। ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে নেপাল।

তবে তার আগে ঘটে গেছে নাটকীয় ঘটনা। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

নেপালের সমতায় ফেরা গোলকে কেন্দ্র করে বিতর্কের শুরু। গোল বাতিলের দাবিতে মাঠ ছাড়ে ভারতীয় দল। যার প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ৬৭ মিনিট বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা, যা নিয়েই চলছে বিতর্ক।

 

ঘটনার শুরু ম্যাচের ৭১ মিনিটে। নেপালের জালে বল জড়িয়ে ম্যাচে লিড নেয় ভারত। গোলের পর ভারতীয় দল যখন উদযাপনে ব্যস্ত। তখন বল নিয়ে সেন্টারে চলে আসে নেপাল। রেফারিও বাঁশি বাজালে শুরু হয় খেলা। অথচ, তখনও খেলার জন্য প্রস্তুত নয় ভারত। বিক্ষিপ্তভাবে তখনও উদযাপনে ব্যস্ত দলটির ফুটবলাররা।

এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোলের দিকে আসতে আসতে দূরপাল্লার শটে গোল করেন নেপালের সাবিত্রা ভান্ডারি। উদযাপনে মেতে ওঠে স্বাগতিক নেপালের পুরো স্টেডিয়াম। অন্যদিকে হতভম্ব হয়ে যায় ভারত। এমন এক গোলের পর মাঠে ও ডাগআউটের সবাই প্রতিবাদ শুরু করেন।

পরিস্থিতি ঠিক করে খেলা শুরু করতে মাঝে কেটে যায় দীর্ঘ ৬৭ মিনিট। আর এই সময়ে গোল বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ফের খেলা শুরু করে রেফারি। যদিও খেলা শুরুর পরের মিনিটেই সেই সাবিত্রা ভান্ডারিই গোল করে পুরো নেপালকে আনন্দে ভাসান। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে জয় পায় নেপাল।

তবে প্রশ্ন থাকছেই নেপালের গোল কি বৈধ ছিল? কী বলছে ফিফার নিয়ম?

এক্ষেত্রে ফিফার নিয়ম অবশ্য যায় নেপালের পক্ষেই। কেননা, কোনও কারণে একটি দলের ১১ জন খেলোয়াড়ই যদি গোল উদযাপনে মাঠের বাইরে চলে যায় এবং তখনও যদি রেফারি খেলা শুরুর বাঁশি বাজান। তবে খেলা চালিয়ে যেতে কোনও বাধা নেই।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক ফুটবলের আইন প্রণয়নকারী সংস্থার নিয়ম বলছে- ৫.২ ধারায় রেফারির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে গোল হওয়া বা না হওয়া এবং খেলা চালুর বিষয়ে রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে কিংবা অন্য একজন ম্যাচ অফিসিয়ালের পরামর্শে খেলার কোনও সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই রেফারির সামনে।

অর্থাৎ দুটি নিয়মই যায় নেপালের পক্ষে। যদিও গোল বাতিলের সময়, ভুটানি রেফারি যুক্তি দিয়েছেন বেঞ্চের একজন খেলোয়াড় মাঠে ছিলেন। যদিও ম্যাচ রিপ্লেতে এর সত্যতা দেখা যায়নি। কাজেই গোলটা প্রাপ্য ছিল নেপালের।

ভারতের পক্ষে এরকম রায় অবশ্য এবারই প্রথম নয়। চলতি বছর ৮ ফেব্রুয়ারি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফের ফাইনালেও বাংলাদেশের বিপক্ষে এসেছিল এমন এক সিদ্ধান্ত। ২২ শটের পেনাল্টি শ্যুটআউট শেষে সেদিন টস করে ভারতকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন ম্যাচ কমিশনার। যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কেবলই রেফারির, সেখানে ম্যাচ কমিশনারের টস কাণ্ড বেশ বড় বিতর্কের জন্ম দেয়।

বাংলাদেশ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। ভারতও মাঠ ছেড়ে চলে যায় হোটেলে। শেষ পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে সেদিন যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন করা হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারতকে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025